Writtings

Life is beautiful but sun is hot!

Life is beautiful but sun is hot!

গাজী ভাইয়ের গাড়ি

(উড়োজাহাজের উড়ো চিঠি)
গাজী ভাইয়ের গাড়ি
শামীম শাহেদ

সবার মধ্যেই প্রচণ্ড উত্তেজনা। মাছ ধরতে যাব। আমি সোহেলকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘এত সময় তোরা কোথায় পাস।’
সে বলল, ‘আমারা শুধু কাজটাই করি। ধনী হওয়ার প্রতিযোগিতা আমাদের নাই।’
‘দিনে কতক্ষণ কাজ করতে হয়?’
‘আট ঘন্টা। এই আট ঘণ্টা পর আমাকে এক সেকেন্ড আটকে রাখার অধিকার অফিসের নাই। আবার আট ঘণ্টার মধ্যে আমরা ফোন ধরার সময়ও পাই না। সুইডেনে নতুন নিয়ম হচ্ছে। এই নিয়মে আমাদের কাজের সময় হবে ছয় ঘণ্টা।’
বাহ। আরামই আরাম।
সামারা আগে বাবার সঙ্গে মাছ ধরেছে। তাই সে আজকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। নোরা, জারা, অরোরা এবারই প্রথম। তাই তাদের উত্তেজনার সীমা নাই। নদী থেকে কীভাবে মাছ ধরা সম্ভব! তা আবার বর্শি দিয়ে! অজস্র প্রশ্ন তাদের মাথায়।

এখানে গাড়ি চড়ার একটা যন্ত্রণা (!) হচ্ছে সবাইকে সিট বেল্ট বাঁধতে হয়। শুধু সিট বেল্টই না। বাচ্চাদের জন্য বেবি সিটও কম্পলসারি। আমাদের দেশেও সিট বেল্ট বাঁধতে হয়, কিন্তু এখানে না বাঁধলে কঠিন শাস্তী। তিন হাজার সেক জরিমানা। বাংলাদেশের টাকায় ত্রিশ হাজার টাকার কাছাকাছি। নিচে বেবি সিট আর ওপরে সিট বেল্টি দিয়ে বাচ্চাদেরকে আটোসাটো করে বাঁধা হলো। প্রত্যেকের হাতেই একটা করে মাছ ধরার ছিপ। এই ছিপ হাতে নিয়েই নাকি তারা নদী পরযন্ত যাবে। গাড়ি হেলসিংবর্গের দিকে ছুটতে শুরু করল। গতি ঘণ্টায় একশ চল্লিশ কিমি। সোহেল ভালো ড্রাইভ করে।

গাড়িতে করে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে আমার বিশেষ অভিজ্ঞতাটা ঢাকায়। ’৯৫ সালের কথা। রাকায়েত ভাইয়ের একটা লালচে গাড়ি ছিল। রাকায়েত ভাই মানে আমাদের গাজী রাকায়েত। নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা। গাড়িটা লালচে টাইপ বলছি কারন গাড়ির রঙ খয়ে গিয়ে তখন খয়রি হওয়ার পথে। গাড়িটার বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে গাড়ীর চারটা দরজার মধ্যে শুধু সামনে বা-দিকের দরজাটাই খোলে। বাকিগুলো খোলে না। সেই এক দরজা দিয়ে আমরা চার-পাঁচজন পিছনের সিটে উঠে বসি। তারপর রাকায়েত ভাই উঠে ড্রাইভিং সিটে বসেন। সবশেষ জন উঠে বাদিকের দরজাটা বন্ধ করে। তারপর আমরা ঘুরতে যাই। এটা নিয়ে আমাদের সে কি আনন্দ। সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন এই গাড়িতে করে ঘোড়াঘুড়ি ছিল কম্পলসারি। কমন ঠিকানা এয়ারপোরটের সামনের ওয়াটার ফ্রন্ট রেস্টুরেন্ট। তখন এয়ারপোর্টের সামনে একটা রেস্টুরেন্ট ছিল। পানির মাঝখানে। নাম ছিল ওয়াটার ফ্রন্ট ।

নিয়মিত যাত্রী কে কে শুনবেন? নাট্যকার পান্থ শাহরিয়ার, অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার, নির্দেশক অম্লান বিশ্বাস, নাট্যকার নজরুল ইসলাম, মাসুদ রানা, অমল বিশ্বাস কথা আর আমি। মাঝে মাঝে আফসানা মিমি আর টনি ডায়েসকেও এই গাড়িতে উঠতে দেখা গেছে।
রাকায়েত ভাই মহা উৎসাহে আমাদের নিয়ে ঘুরতে বের হতেন আর বিভিন্ন নাটকের গল্প শোনাতেন। একদিন বাংলামটর মোড়ে এসে গাড়ি আটকে গেল। আটকে গেল না বলে বলতে হবে থেমে গেল। রাকায়েত ভাই পিছন দিকে মাথা ঘুরিয়ে বললেন, ‘শোন আমি তোদেরকে শুধু ঘুড়াঘুড়ির জন্য গাড়িতে উঠাই না। গাড়ি কোথাও বন্ধ হয়ে গেলে গাড়ি ঠেলাটাও তোদের দায়িত্ব। যা গাড়ি ঠেল।’
কি আর করা। গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে বাংলামটরের ওই পারে নেওয়া হলো। কিন্তু রাকায়েত ভাইয়ের মুড অফ।
‘কি ব্যাপার রাকায়েত ভাই। কোনো সমস্যা?’
‘তেমন কোনো সমস্যা না। ট্রাফিক পুলিশ গাড়িটার দিকে তাকিয়ে হাসছিল বলে মনে হল।’
‘থাক বাদ দেন। তার মুখটাই বোধহয় এমন।’

তার কয়েকদিন পড়ের ঘটনা। শান্তিনগর পুলিশ লাইনের উল্টোপাশে গাড়ি রেখে রাকায়েত ভাই টেলিহোমে এডিটিং করছেন। বশির ভাইয়ের টেলিহোম তখন শান্তিনগরে ছিল। রাত দুইটায় এডিটিং থেকে বের হয়ে রাকায়েত ভাই দেখলেন তার গাড়ি নাই। এটা কোনো কথা হল। এত প্রিয় একটা গাড়ি চুরি হয়ে যাবে। সবাইকে ফোন করে অস্থির করে তুললেন রাকায়েত ভাই। ‘জানিস আমার গাড়িটা চুরি হয়ে গেছে।’
‘কি বলেন, এই গাড়ি কে নিবে।’ পান্থ শাহরিয়ারের উত্তর।
তার খুব গায়ে লাগল। রাকায়েত ভাই ফোন রেখে দিলেন। একটা পর পাশ থেকে দাড়োয়ান এসে বলল, ‘স্যার, গাড়ি তো চুরি হয় নাই। গলিতে ট্রাক ঢুকব। হেলপার জোড়ে টান দিল আপনের গাড়ির দরজা খুইলা গেল। তারপর ধাক্কায়া পাশের গলিতে নিয়া রাখছে।’
রাগে, দুঃখে, ক্ষোভে রাকায়েত ভাই তখনই সিদ্ধান্ত নিলেন, এই গাড়ি আর রাখব না।
যেই ভাবনা সেই কাজ। আমার স্পষ্ট মনে আছে শেষে সেই গাড়ি বিক্রি করে সঙ্গে আরও পাঁচশ টাকা ভরে রাকায়েত ভাই একটা সাইকেল কিনলেন।

বিদ্র: ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন রাকায়েত ভাই। সত্যি কি আর চাঁপা থাকে বলেন!দিনার, পান্থ স্বাক্ষী। তবে ইউরোপে সাইকেলের অনেক কদর। মাছ ধরার গল্পটা আরেকদিন বলব।

আগস্ট ২০১৬
লুন্ড, সুইডেন।

উড়োজাহাজের উড়োচিঠি বি এফ জি

এক মাসের ইউরোপ ট্যুরে আমার আর মুনের কাজ ছিল পথে পথে ঘুরে বেড়ানো আর সিনেমা দেখা। লুন্ড শহরে বেশ কয়েকটা থিয়েটার কম্পাউন্ড আছে। প্রতিটিতেই চার-পাঁচটি করে প্রজেকশন হল। খুব বেশি মারামারি আর ঝড়-ঝাপ্টার সিনেমা এখানে জনপ্রিয় হয় না। একটু শান্ত প্রেমের ছবি এখানে বেশি চলে। একটা ফিল্মের কথা এখানে সবার মুখে মুখে শুনতে পেলাম। নাম বিএফজি। বিগ ফ্রেন্ডলি জায়েন্ট।

হঠাত্ করে লন্ডন শহর থেকে একটি বাচ্চা মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় একটি জায়েন্ট। দৈত্যটি দেখতে বিশাল আকৃতির, কিন্তু বয়স্ক। ছোট্ট মেয়েটির নাম সোফি। সোফি খুবই বুদ্ধিমতি একটি মেয়ে। খুব ঠাণ্ডা মেজাজের। বিএফজির সঙ্গে কথা বলে বলে সে তার বন্ধু হয়ে যায়। বিএফজির একটি গোপন মিশন আছে। সে ঘুরে ঘুরে সবার স্বপ্ন জড়ো করে। বিএফজির চেয়েও বড় একদল জায়েন্টকে দেখা যায়। এরা কেইনিবল। মানুষের মাংস খায়। একদিন সোফিকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাইনিবলদের দেশে হাজির হয় বিএফজি। তারা খেয়ে ফেলতে চায় সোফিকে। চমত্কার গল্প, চমত্কার গ্রাফিক্স, প্রজেকশন, প্রেজেন্টেশন। স্টিভেন স্পিলবার্গের ছবি। এই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত আমেরিকান ছবি। চমত্কার অভিজ্ঞতা।

এখনকার ছেলেমেয়েরা কত ভাগ্যবান। চমত্কার সব ছবি দেখাতে পাচ্ছে তারা। আমাদের ছোটবেলায় এই ধরনের কোনো ছবি দেখার সুযোগই ছিল না। সিনেমা হলে গিয়ে আমার দেখা প্রথম ছবি ছিল ‘ছুটির ঘণ্টা’। আর একা একা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে দেখা ছবি ছিল ‘জরিনা সুন্দরী’। অবাক হচ্ছেন? সে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। বাসা থেকে রেডিটেডি হয়ে বের হবো, আম্মা জিজ্ঞেস করলেন, ‘কই যাস?’

আমি সরাসরি বললাম, ‘সিনেমা দেখতে যাই।’

আম্মা বিশ্বাস করলেন না। বললেন, ‘যাহ! ফাজলামো করিস না। তাড়াতাড়ি চলে আসিস।’

আমি আর আমার মামা গিয়ে হাজির হলাম নরসিংদীর সুরভী সিনেমা হলে। ওয়াসিম আর সুচরিতার বড় বড় দুটি ছবি সামনে ঝুলছে। সুন্দর করে লেখা- জরিনা সুন্দরী চলছে। ঢুকে পড়লাম এখানেই।

প্রচণ্ড গরম। আশপাশে ঘামের গন্ধ। টুলের মতো একটি চেয়ারে বসে পড়লাম। সিনেমা শুরু হলো। দশ পনের মিনিটের মধ্যে ঘেমেটেমে শেষ। তাকিয়ে দেখলাম, মাথার ওপর ফ্যান ঘুরছে। কিন্তু গায়ে একটুও বাতাস লাগছে না। আশ্চর্য ফ্যান ঘুরছে অথচ বাতাস লাগছে না। এটা কিভাবে হয়। সিনেমা হল গরম হলে গরম বাতাসই লাগুক। লাগবে তো!

মামা বিদ্রোহী ভঙ্গিতে বললেন, ‘সিনেমা না হয় না দেখলাম, কিন্তু বাতাস কেনা লাগে না এটা না দেখে আজকে ঘরে ফিরবো না।’

সিনেমা শেষ হলো। সবাই বের হলো। ফ্যান থামলো। আমরা অবাক হয়ে দেখলাম, ফ্যানের শুধু মাঝখানের গোল অংশটি আছে, তিনটি পাখা নেই।

‘জরিনা সুন্দরী’ দেখার কুফল কি হলো বলতে পারবো না। সুফল হলো, আমার সিনেমা দেখার বাতিক হয়ে গেল। এরপর এমন দিনও গেছে, সপ্তাহে চৌদ্দটি সিনেমা দেখেছি। তখন এক টিকেটে দুই ছবি দেখার বেশ চল ছিল। কিন্তু তখন আমাদের কোনো ‘বিএফজি’ ছিল না। আমাদের ছিল জাম্বু। বিগ ফ্রেন্ডলি জাম্বু। এক অর্থে অবশ্য তিনিও বিএফজি।

 

সিনেমা শেষ করে আমি আর মামা রাস্তায় এসে দাঁড়ালাম। রাত তখন দশটা। মফস্বল শহর। ঘুটঘুটে অন্ধকার। টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে। আশেপাশে একটা রিকশাও নেই। হঠাত্ দেখলাম একটা ট্রাক ধীরে ধীরে আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। ট্রাকটা চলছে কিন্তু ট্রাকের ভেতরে কেউ নেই। গা শিউরে উঠল। ড্রাইভার নেই, হেলপার নেই অথচ ট্রাক চলছে। ঘামতে শুরু করলাম। দৌড় দেবো কি-না ভাবতে ভাবতে ট্রাকটি সামনে চলে এলো। পাস করে যেতেই দেখলাম ড্রাইভার আর হেলপার মিলে ট্রাকটিকে পেছন থেকে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে যাচ্ছে।

একটি জোক মনে পড়ে গেল।

মফস্বল শহরগুলোতে এটার খুব চল আছে। ইয়াং পোলাপান স্পিডব্রেকারের সামনে এসে দাঁড়ায়, যখন কোনো একটি বাস বা ট্রাক আসে তখন তারা সেটাতে উঠে পড়ে। পরে সুযোগ বুঝে একটি জায়গায় নেমে যায়। ভাড়া লাগে না। এ রকম একটি লোক দাঁড়িয়ে আছে একটি স্পিডব্রেকারের সামনে। বাস বা ট্রাক এলেই উঠে পড়বে। রাত তখন এগারটা বাজে প্রায়। টিপিটিপ বৃষ্টি হচ্ছে। একটি ট্রাক এলো, সে সেটাতে উঠে পড়ল। ট্রাকের ওপর ছিল একটি লাশ। বেওয়ারিশ লাশ। পাটি দিয়ে পেঁচিয়ে ট্রাকে করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল। যে লোক স্পিডব্রেকারের সামনে থেকে উঠেছে সে তো আর এসব জানে না। সে দেখলো গাছের গুড়ির মতো একটা কিছু ট্রাকের ওপর রাখা। সে সেটাতে বসে সিগারেট টানতে লাগলো।

এদিকে ড্রাইভার তার পাশে বসা হেলপারকে বললো, ‘উকি দিয়া দেখতো লাশের কী অবস্থা?’

হেলপার পেছন দিকে তাকিয়ে অবাক, ‘ওস্তাদ, লাশ তো বইসা সিগারেট টানতেছে।’ -‘কছকি’। ট্রাক থামিয়ে পেছন দিকে তাকালো ড্রাইভার। দেখলো, সত্যি সত্যি লাশ বসে সিগারেট টানছে। ভয়ে ট্রাক ফেলে দু’জন দিল দৌড়। ট্রাকের ওপরে বসা লোকটি ভাবল নিশ্চয়ই কোনো একটা সমস্যা হয়েছে, তা না হলে এরা দৌড়ায় কেন? কিছু বুঝে উঠতে না পেরে সেও তাদের পেছন পেছন দৌড় দিলো। এটা দেখে হেলপার চিত্কার করে উঠল, ‘ওস্তাদ দৌড়ান, লাশ আইতাছে।’

আমাদের আশেপাশের এসব ঘটনা শুনলে স্পিলবার্গ নিশ্চয়ই অবাক হয়ে যেতেন। ভাবতেন, এরা জায়েন্ট না হতে পারে কিন্তু বেশ ফ্রেন্ডলি।

লুন্ড, সুইডেন থেকে

Thanks a lot Qatar airways

ধন্যবাদ কাতার অ্যায়ারওয়েজ

qatarপ্রতিবার ইওরোপ টুরের আগে কোনো না কোনো ঝামেলা হবেই। এবারও হল। আগের গুলা পরে বলছি। এইবারেরটা আগে বলি।

যাত্রার শুরুর সময় থেকেই দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। সন্ধায় খবর এলো, ফ্লাইট ডিলেইড। প্রায় দুই ঘন্টা। বাসায় বসে থাকতে থাকতে রিপভ্যানউইঙ্কেল অবস্থা । চরম অনিচ্ছায় অ্যায়ারপোর্ট হাজির হলাম। সেখানেও অপেক্ষা। ঢাকা অ্যায়ারপোর্টের কোনাকান্ছি মুখস্ত হয়ে গেল। তখনই ধারনা করতে পারছিলাম এই চাঁপটা যেয়ে পড়বে ট্রান্জিটের ওপর।
কাতার অ্যায়ারওয়েজ সাধারনত এই জাতীয় সমস্যাগুলো চমৎকার ভাবে সামলায়। আরাই ঘন্টার ট্রান্জিটে দুই ঘন্টার ডিলেইড- বড় ধরনের চাঁপ অপেক্ষা করছে বুঝতে পারছিলাম।
ঘটলও তাই । কাতার অ্যায়ারপোর্টে প্লেন ল্যান্ড করার সঙ্গে সঙ্গে একজন এসে বললেন- আর ইউ মিস্টার শামীম ?
আমি ওপর-নিচ মাথা নেড়ে শেষ করার আগেই বললেন -ফলো মি।
তারপর ইউসাইন বোল্টকে পিছনে ফেলে ছুটলেন এই মাথা থেকে ওই মাথা। আমার পুরো পরিবার তখন টাইসন গেই। নোরা, জারা, অরোরা, মুন আর আমি সবাই তখন প্রৃথিবীর সেরা অ্যায়ারপোর্টের দৈঘ্র্যের ওপর প্রচণ্ড বিরক্ত।
বিশ মিনিট একটানা দৌড়ানোর পর হিন্দী সিনেমার মতো প্লেনে উঠলাম আমরা। হিন্দী সিনেমার মতো মানে, পুরো একটা আস্ত প্লেন যাত্রী বোঝাই করে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের জন্য। খুবই লজ্জা লজ্জা লাগল। প্লেন ভর্তি যাত্রীরা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, আমারা পাঁচজন সিটে গিয়ে বসলাম। সঙ্গে সঙ্গে প্লেন নড়তে শুরু করল।
তখন হঠাৎ মাথায় এলো বিষয়টা–আমাদের লাগেজ? আমাদেরকেই যদি এইভাবে দৌড়ে এসে প্লেনে উঠতে হয় আমাদের লাগেজ কিভাবে আসবে?
পরক্ষণেই আবার মনে হল–ধুর বোকাদের মতো কীসব আবোল তাবোল ভাবছি।
প্লেন ল্যান্ড করল কোপেনহেগেন অ্যায়ারপোর্টে। ডেনমার্ক।
ছয় নাম্বার বেল্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছি তিনটা লাগেজ আসার পর বাকিগুলার আর দেখা নাই। খুব চিন্তায় পড়ে গলাম। বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে এখন কী করি।
ব্যাগজ ক্লেইম কাউন্টারে জানাতেই লজ্জায় কাচুমাচু হয়ে গেল লোকটা। উই আর ভেরি সরি-জাতীয় কিছু কথা বলে কম্পিটার ঘাটাঘাটি করে জানালো-লাগেজ তিনটি দোহা থেকেই বিমানে ওঠানো সম্ভব হয় নাই।
-তাই ? তাহলে এখন কী করণীয় ? আমাদের লাগেজ হারিয়ে গেল?
শুরু হল সবার আহাজারি। আমাদের ভ্রমণ জীবনে এই ঘটনা এবারই প্রথম। আমরা যতটাই চিন্তিত ওই লোক ততটাই কাচুমাচু ।
-কোনো চন্তা করবেন না। আপনারা যেখানে যাচ্ছেন চলে যান, আমরা আপনাদের ঠিকানা মতো পৌঁছে দেব।
-বলে কি এই লোক, কোনো জিনিস হারলে আবার ফেরত পাওয়া যায় নাকি? আমাদের আহাজারি আর কমে না।
ঠিকানা-টিকানা দিয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত হ্রদয় নিয়ে অ্যায়ারপোর্টের বাইরের দিকে হাটতে শুরু করব তখনই আমাদের দিকে একটা খাম বাড়িয়ে দিলেন তিনি।
-এখানে এক হাজার সাতশ ডেনিস ক্রোনার আছে। কাতার অ্যায়ারওয়েজ এই অনাকাঙখীত ঘটনার দায় হিসেবে টাকাটা আপনাদের দিচ্ছে।
-বলেন কী! কেন! আমিতো অবাক। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় বিশ হাজার টাকা।
-আপনাদের যদি জরুরী কিছু কিনতে হয়, তাই দিচ্ছে।
-বলেন কী, লাগেজ কি আর দিবেন না তাহলে। মুখ ফসকে বের হয়ে গেল কথাটা। সবাই হেসে উঠল। মনের আনন্দে টাকা নিয়ে বের হয়ে এলাম। পাশ থেকে মুন বলল, ওদেরকে বলনা ওরা চাইলে লাগেজ আরও কিছুদিন রেখে দিক।
দুই দন লাগেনি, পরদিন বিকেলেই ফোন এল, আপনাদের লাগেজ নিয়ে দশ মিনিটের মধ্যে আমরা বাসায় আসছি।
ধন্যবাদ কাতার অ্যায়ারওয়েজ । কৃতজ্ঞতা বিনয়, ভদ্রতা আর বিশ্বাসের প্রতি।
Privilege club no: 506475779.

‘আমার সর্বশেষ লক্ষ্য সিনেমা নির্মাণ’

শামীম শাহেদ। নির্মাতা, অভিনেতা ও টিভি ব্যক্তিত্ব। বর্তমানে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনের অনুষ্ঠান প্রধানের দ্বায়িত্ব পালন করছেন। শুক্রবার (৩১ মার্চ) দশম বর্ষ পূর্তি করে একাদশ বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে বাংলাভিশন। বাংলাভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, নির্মাণ, অভিনয় নিয়ে কথা বলেছেন পূর্বপশ্চিমের সঙ্গে। সাক্ষৎকারটি নিয়েছেন সৈয়দ নূর-ই-আলম

পূর্বপশ্চিম: দশ বছর একটা চ্যানেলের জন্য বেশি সময় নয় আবার কম সময়ও নয়,  আপনাদের অর্জন কতটুকু?

শামীম শাহেদ: আপনার কথার সুর ধরে আমি বলতে চাই দশ বছরে আমাদের অর্জন খুব বেশি নয় আবার খুব কমও নয়। এই সময়টুকুর মধ্যে আমরা দর্শকের মনে আলাদা করে জায়গা করে নিতে পেরেছি। আমাদের বলার মতো বেশ কিছু অনুষ্ঠান তৈরি হয়েছে। সংবাদে নিরপেক্ষতার বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। জনপ্রিয় নাটকের একটি বড় তালিকা তৈরি হয়েছে।

পূর্বপশ্চিম: বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কী কী আয়োজন থাকছে?

শামীম শাহেদ: দেখুন, আমাদের দেশে এতগুলো চ্যানেল, সবার এত এত ব্যস্ততা, তার মধ্যে একটা চ্যানেলের জন্মদিন এটা দর্শকের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ আমার সন্দেহ আছে। তারপরও আমাদের শুভাকাঙ্খিরা আছেন, শিল্পী-কলাকুশলীরা আছেন, ক্যাবল অপারেটার-বিজ্ঞাপন দাতারা আছেন, তারা নিশ্চয়ই আমাদেরকে শুভ-কামনা জানাতে আসবেন। তাদের জন্য দিনব্যাপী বাংলাভিশন দপ্তরে বিশেষ আয়োজনের পাশাপাশি পর্দায় থাকছে দুই দিনব্যাপী বিশেষ আয়োজন।

Shamim 3

পূর্বপশ্চিম: বাংলাভিশনের প্রথম দিকের পথচলার গল্প শুনতে চাই…

শামীম শাহেদ: সত্যি সত্যি প্রচন্ড উন্মাদনা নিয়ে আমরা বাংলাভিশন শুরু করেছিলাম। তখন এত সুন্দর বসার জায়গাগুলো ছিল না। একটা ফ্লোরে খোলা জায়গায় বসে অফিস করতাম। তারপর অপি করিমের আমার আমি, মামুনুর রশিদের সময় অসময়, শারমিন লাকির আপনার আগামী, আসিফ নজরুলের আর্টিক্যাল থার্টিনাইন এসবের মধ্যদিয়ে ধীরে ধীরে আলাদা হতে লাগল। তবে এই যুদ্ধটা চিরন্তন। চলতেই থাকবে।

পূর্বপশ্চিম: অনেকেরই অভিযোগ কেউ আমাদের দেশের চ্যানেলগুলো দেখে না। আপনার মতামত কী?

শামীম শাহেদ: দেখুন, একজন বাংলাদেশি পৃথিবীর যেকোনো জায়গাতেই থাকুক না কেন প্রথমে বাংলাদেশের চ্যানেল দেখতে চায়। না পেলে সহজলভ্য অন্য দেশের বাংলা চ্যানেলগুলো দেখার চেষ্টা করে। তাও না পেলে তখন অন্য চ্যানেল দেখে। ফলে এটা নিশ্চিন্তে বলা যায়, দেখার উপযোগি কিছু থাকলে সবাই আমাদের চ্যানেল দেখবে। এর একটা জলজ্যান্ত প্রমান আমাদের ঈদের আয়োজনগুলো। তখন কিন্তু আমাদের টিআরপি অন্য যেকোনো বিদেশী চ্যানেলের চাইতে বেশি থাকে। তবে ভালো অনুষ্ঠান প্রচারের কাজটা অনেক কঠিন।

Shamim 2

পূর্বপশ্চিম: আপনি দ্বিতীয় দফায় যোগ দিয়েছেন তাও প্রায় ছয় বছর হতে চলল। এর মধ্যে বাংলাভিশনকে কীভাবে আলাদা করেছেন?

শামীম শাহেদ: এই প্রশ্নটার সঙ্গে আপনার আগের প্রশ্নটা যুক্ত। অনেকেই বলে আমাদের দেশের চ্যানেল নাকি আমাদের দর্শক দেখে না। কিন্তু আমি তো মনেকরি বাংলাভিশন অনেকের কাছেই জনপ্রিয়। যেমন ধরেন, আরমান ভাই, সিকান্দার বক্স, ফরমালিন, অ-এর গল্প, হাড়কিপ্টে, আমি এখন কী করব, বিপাশার অতিথি, মনের কথা এই নামগুলো অনেকের কাছেই পছন্দের নাম। তাহলে আমরা জোড় দিয়ে বলতে পারি, বাংলাভিশন কিছুটা হলেও আলাদা হতে পেরেছে।

Shamim1টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান নিয়ে আপনার আগামীর পরিকল্পনা কী?

শামীম শাহেদ: সামনে তিন-চার বছর বাংলাভিশনকে আমরা পারিবারিক চ্যানেল বানানোর চেষ্টা করব। পারিবারিক বন্ধন কতটা জরুরি তা তুলে ধরার চেষ্টা করব। পাশাপাশি ফান থাকবেই। আমি ফান ভক্ত মানুষ। আর আমার ব্যাক্তিগত পরিকল্পনা যদি জানতে চান তাহলে বলব, আমার পরিকল্পনা সামনের সময়টাতে অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন নিয়েও আমি কাজ করতে চাই। এটা আমার নতুন চ্যালেঞ্জ।

পূর্বপশ্চিম: নির্মাতা শামীম শাহেদের খবর বলুন…

শামীম শাহেদ: আমি নিজেকে নির্মাতা হিসেবেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তবে টিভি চ্যানেলের দ্বায়িত্বের কারণে এখন তুলনামূলক কম নাটক নির্মাণ করছি। প্রতি ঈদ কেন্দ্রিক নাটক নির্মাণ করছি। সামনের ঈদে দুটি নাটক বানাবো। নাটকদুটি হচ্ছে ‘রঙিন দ্বিধা’ ও ‘কল্পচূড়া’। প্রথমটিতে অভিনয় করবেন রিয়াজ, দিপা খন্দকার, স্পর্শিয়া। দ্বিতীয় নাটকটিতে অভিনয় শিল্পী এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কয়েকদিনের মধ্যে আমেরিকা যাবো। সেখান থেকে এসে নাটক দুটি নির্মাণের কাজে হাত দেবো।

আপনার সমসাময়িক অনেকেই সিনেমা নির্মাণ করছেন। আপনি কখন শুরু করছেন?

শামীম শাহেদ: আমার সর্বশেষ লক্ষ্য সিনেমা নির্মাণ। আগের চেয়ে সিনেমার দর্শক এখন বেড়েছে। হলগুলোর পরিবেশও এখন ভালো হয়েছে। আশা করছি, আগামী বছর সিনেমার কাজে নামতে পারবো।

আপনিতো একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন, তাই না?

শামীম শাহেদ: হ্যাঁ। শান্ত মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি পার্টটাইম সহযোগি অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছি।

মীনা অ্যাওয়ার্ডের বিচারক হিসেবে কেমন উপভোগ করছেন?

শামীম শাহেদ: এটি একটি সম্মানজনক পুরস্কার। এখানে আিম বিচারক হিসেবে কাজ করছি। ৮ বছর ধরেই এ দ্বায়িত্বটি পালন করছি আমি।

‘ভালো অনুষ্ঠান প্রচারের কাজটা অনেক কঠিন’

দশ বছর পেরিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) একাদশ বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশন। এ উপলক্ষে কথা হচ্ছিলো এর অনুষ্ঠান প্রধান শামীম শাহেদের সঙ্গে। মাঝে কিছু সময় বাদে শুরু থেকেই চ্যানেলটির সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি।

বাংলানিউজ : গত দশ বছরে আপনাদের অর্জন কতোটুকু?
শামীম শাহেদ :
দশ বছরে আমাদের অর্জন খুব বেশি নয়, আবার খুব কমও নয়। এই সময়টুকুর মধ্যে আমরা দর্শকের মনে আলাদা করে জায়গা করে নিতে পেরেছি। আমাদের বলার মতো বেশকিছু অনুষ্ঠান দেখা গেছে। সংবাদে নিরপেক্ষতার বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। জনপ্রিয় নাটকের একটি বড় তালিকাও রয়েছে।

বাংলানিউজ : বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন থাকছে?
শামীম :
দেখুন আমাদের দেশে এতোগুলো চ্যানেল, সবার এতো ব্যস্ততা, তার মধ্যে একটা চ্যানেলের জন্মদিন দর্শকের জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ আমার সন্দেহ আছে। তারপরও বাংলাভিশন কার্যালয়ে শুভাকাক্সক্ষী, শিল্পী-কলাকুশলী, ক্যাবল অপারেটর-বিজ্ঞাপনদাতারা শুভকামনা জানাতে আসবেন। পর্দায় থাকব দুই দিনের বিশেষ আয়োজন।

বাংলানিউজ : বাংলাভিশনের শুরুর সময়েও আপনি ছিলেন। তখনকার উন্মাদনা কেমন ছিলো?
শামীম :
অনেক উন্মাদনা নিয়ে আমরা বাংলাভিশন শুরু করেছিলাম। তখন এতো সুন্দর বসার জায়গা না। একটা ফ্লোরে খোলা জায়গায় বসে অফিস করতাম। তারপর অপি করিমের ‘আমার আমি’, মামুনুর রশীদের ‘সময় অসময়’, শারমিন লাকির ‘আপনার আগামী’, আসিফ নজরুলের ‘আর্টিক্যাল থার্টিনাইন’ অনুষ্ঠানগুলোর মধ্য দিয়ে ধীরে ধীওে চ্যানেলটি আলাদা হতে লাগলো। তবে এই ধারাটা চিরন্তন। চলতেই থাকবে।

বাংলানিউজ : সবাই অভিযোগ করে বলে কেউ আমাদের দেশের চ্যানেলগুলো দেখে না। আপনার মতামত কী?
শামীম :
দেখুন একজন বাংলাদেশি পৃথিবীর যেখানেই যাক বা থাকুক, প্রথমে বাংলাদেশের চ্যানেল দেখতে চায়। না পেলে সহজলভ্য অন্য দেশের বাংলা চ্যানেলগুলো দেখার চেষ্টা করে। তা-ও না পেলে তখন অন্য চ্যানেল দেখে। ফলে এটা নিশ্চিন্তে বলা যায়, দেখার উপযোগী কিছু থাকলে সবাই আমাদের চ্যানেল দেখবে। এর উজ্জ্বল উদাহরণ আমাদের ঈদ আয়োজন। তখন কিন্তু আমাদের টিআরপি অন্য যে কোনো বিদেশি চ্যানেলের চেয়ে বেশি থাকে। তবে ভালো অনুষ্ঠান প্রচারের কাজটা অনেক কঠিন।

বাংলানিউজ : এ চ্যানেলে আপনি দ্বিতীয় দফায় যোগ দিয়েছেন তা-ও প্রায় ছয় বছর হতে চললো। এর মধ্যে বাংলাভিশনকে কীভাবে আলাদা করেছেন?
শামীম :
এই প্রশ্নটার সঙ্গে আপনার আগের প্রশ্নটা যুক্ত। অনেকেই বলে আমাদের দেশের চ্যানেল নাকি আমাদের দর্শক দেখে না। কিন্তু আমি মনে করি বাংলাভিশন অনেকের কাছেই জনপ্রিয়। যেমন ধরেন, আরমান ভাই, সিকান্দার ব·, ফরমালিন, ‘অ-এর গল্প’, ‘হাড়কিপ্টে’, ‘আমি এখন কী করব’, ‘বিপাশার অতিথি’, ‘মনের কথা’ নামগুলো অনেকের কাছেই পছন্দের। তাই আমরা জোর দিয়ে বলতে পারি, বাংলাভিশন কিছুটা হলেও আলাদা হতে পেরেছে।

বাংলানিউজ : সামনে আপনার পরিকল্পনা কী?
শামীম :
সামনে তিন-চার বছর বাংলাভিশনকে পারিবারিক চ্যানেলে রূপান্তরের চেষ্টা থাকবে আমাদের। পারিবারিক বন্ধন কতটা জরুরি তা তুলে ধরার চেষ্টা করবো। পাশাপাশি ফান থাকবে। আমি ফান-ভক্ত মানুষ। আর আমার ব্যক্তিগত পরিকল্পনা হলো সামনের সময়টাতে অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন নিয়েও কাজ করতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬

জেএইচ

স্যার, সালাম

স্যার, সালাম। কাল আমাদের জন্মদিন । আজ রাতে ১২ টা ১ মিনিটে কেক কাটা হবে। খুব হইচই হবে। আনন্দ হবে। কিন্তু কখনো কি ভেবেছিলাম আপনাকে ছাড়াও এই দিনটা উদযাপন করতে হবে আমাদের।
সবাই কত পরিকল্পনা করে, এই করবে ওই করবে। সব কিছু পাল্টে দেবে। আগে কোনো কিছুই নাকি ঠিক ছিল না। কত কথা।
খুব কষ্ট লাগে স্যর। কিন্তু চুপ করে থাকি। আপনি হলে যেমন থাকতেন। কিন্তু আমরা তো জানি আপনার তৈরি করা পথের উপর দিয়ে হাটছি আমরা।
আমি জানি স্যার আপনি এখনো আমাদের দেখছেন, আমাদের আগলে রাখছেন। আপনার ছায়া আমাদের মাথার ওপর থাকলে কোনো কিছুই কোনো ব্যাপার না।
যেখানেই থাকেন ভালো থাকবেন স্যার। আমি জানি আপনি ভালো আছেন। এত এত মানুষকে ভালো রেখে আপনি কীভাবে খারাপ থাকবেন বলেন।